মঙ্গলবার, ০৮ Jul ২০২৫, ০৬:৩৭ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশীদের লিজ দেওয়া হবে আত্মঘাতী। যে কোন মূল্যে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের পরিচালিত হতে হবে। অভিজ্ঞতার দোহাই দিয়ে জাতীয় অর্থনীতির প্রধান লাইফ লাইন চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার সরকারী সিদ্ধান্ত দেশের জনগণ মানতে পারে না বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি – বাংলাদেশ ন্যাপ।
শনিবার (১৭ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এই হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন।
তারা বলেন, নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত প্রধান সমুদ্র বন্দর বিদেশী কোম্পানির তত্ত্বাবধানে পরিচালনা করার তৎপরতা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি। এই সিদ্ধান্ত দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য হুমকির কারণ হতে পারে। জনগনের নির্বাচিত সরকার ছাড়া এই ধরনের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া দেশের জন্য বুমেরাং হতে পারে।
নেতৃদ্বয় বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশী কোনো কোম্পানীর হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতী ও অদূরদর্শী। দেশ ও দেশের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ কোনো সরকার আমাদের প্রধান সমুদ্রবন্দরকে বিদেশীদের হাতে তুলে দিতে পারে না। তাছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের এতবড় জাতীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহন করার কোনো এখতিয়ার নেই।
জেবেল – মোস্তফা আরো বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে চালু হওয়া দেশের বৃহত্তর এই কনটেইনার পোর্টটি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তত্বাবধানে গত ১৭ বছর ধরে লাভজনকভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। সরকারের ঘোষনার ফলে জন মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সরকার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে উঠেপড়ে লেগেছে? এই টার্মিনালে বিশ্বের সর্বাধুনিক গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ আধুনিক প্রযুক্তিও যুক্ত করা হয়েছে। প্রয়োজনে বন্দরের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় আরও আধুনিক প্রযুক্তি আমদানি করারও সুযোগ রয়েছে। জাতীয় সক্ষমতা অর্জনের এই পথে না হেঁটে সরকার বন্দরে বিদেশ নির্ভরতার যে পথে হাঁটছে কোনভাবেই তা দেশবাসী মেনে নিতে পারে না।
ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, জাতির এই কঠিন সময়ে এই সিদ্ধান্ত দেশের জন্য কোন অবস্থায় কল্যাণ বয়ে আনবে না। তাই সরকারকে জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তায় ঝুঁকি সৃষ্টিকারী এই ধরনের সব তৎপরতা থেকে সরে আসতে হবে।