মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যেতে হবে : মিতা রহমান বিজয় দিবসে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে হামলার শিকার সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় অভিযোগ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা হওয়া প্রয়োজন : ন্যাপ মহাসচিব শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসে শ্রদ্ধা, রাজনীতিকে মেধাশূণ্য করতেই হাদির উপর গুলি : ন্যাপ ওসমান হাদীর উপর গুলিবর্ষনের ঘটনায় বাংলাদেশ ন্যাপ’র উদ্বেগ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ তফসিল ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট ১২ফেব্রুয়ারী রাজধানীর সূত্রাপুরে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা

চালের বাজার নিয়ন্ত্রনে কঠোর পদক্ষেপ নিন : ন্যাপ

 

আমনের ভরা মৌসুমেও চালের বাজারে অস্থিরতা শুরু হওয়ায় গভীর উদ্বেগ ও উতকন্ঠা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ’র শীর্ষ নেতৃদ্বয় বলেন, ‘ সরকারের অবহেলার ফলে চালের বাজার নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে পড়েছে, ফলে চালের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী। আমনের ভরা মৌসুমেও কেন চালের মূল্য কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে জনগন সেই প্রশ্নের উত্তর খুজে পাচ্ছে না। এটা দিবালোকের মত স্পষ্ট যে, সরকারের কঠোর পদক্ষেপের অভাবে ভরা মৌসুমেও চালের মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে মোকামেই। তার প্রভাব পড়ছে পাইকারি ও খোলা বাজারে। চালের বাজারে বেসামাল মূল্যবৃদ্ধি উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করছে ভোক্তাদের মধ্যে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, ‘চাল আমদানির সুযোগ ও শুল্ক কমানো হলেও পরিস্থিতি আশাব্যঞ্জক নয়। ধানের উৎপাদনে ঘাটতি নেই, ব্যবসায়ীদের কাছে ধান-চাল যথেষ্ট মজুতও রয়েছে। তবুও মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে শুধুমাত্র মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের অভাবের কারণে। পূর্বে সরকার মূল্য নির্ধারণ করে দিয়ে মিলারদের চাপে রাখলেও এবার তেমন কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ’

নেতৃদ্বয় বলেন, ‘ধসৎ ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে চালের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে। চালের মূল্যবৃদ্ধির পেছেনে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়ী করছেন পাইকার ও মিলাররা। শুধু করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়ী করলে চলবে না। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মিলার ও পাইকাররাও মূল্য বৃদ্ধি করছে। অন্যদিকে চালের বাজারে খাদ্য বিভাগ, ভোক্তা অধিকার বা জেলা প্রশাসনের কোনো রকম তদারকি নেই বললেই চলে। চালের বাজার তদারকির বাইরে রয়েছে। এ কারণেও দফায় দফায় চালের মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে। ’

তারা বলেন, ‘পণ্যের মূল্য হ্রাস করতে আমদানি শুল্ক কমানোসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া সত্ত্বেও বাজারে এর প্রভাব পড়েনি। এর মূল কারণও সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা। মিলারদের কারসাজিতে চালের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। যারা চালের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা না হলে সিন্ডিকেটের সদস্যরা মূল্যবৃদ্ধি করে সরকার ও জনগনকে মুখোমুখি দাড় করাবে। যা রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর হবে না।’

নেতৃদ্বয় বলেন, ‘দেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান। এর মধ্যেই সরকার যে ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধি করেছে তাতে সাধারণ মানুষের ওপর এর প্রভাব বেশি পড়ছে। ভরা মৌসুমেও ভোক্তাকে বেশি মূল্য দিয়ে চাল কিনতে হচ্ছে। এতে চরম অস্বস্তিতে পড়ছে ভোক্তা শ্রেনী। বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারের উপদেষ্টা আর কর্তা ব্যক্তিরা শুধু শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে নীতি বাক্য বললেই বাজার নিয়ন্ত্রন হবে না। মনে রাখতে জনগনের পেটে ভাত না পড়লে কোন নীতিকথা কাজে লাগে না।’

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত