প্রি-পেইড মিটারের পরিবর্তে পূর্বের ন্যায় পোষ্ট পেইড মিটার সংযোগ, অসঙ্গতিপূর্ণ বিদুৎ বিল, মিটার চার্জ ও অতিরিক্ত চার্জ হতে অব্যাহতিসহ সকল অনিয়ম ও ভৌতিক আর্থিক ক্ষতি সাধন থেকে রক্ষা পেতে ডিপিডিসিকে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে হয়রানীর শিকার বিক্ষুব্দ গ্রাহকরা।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে বৃষ্টিতে ভিজে ডিপিডিসি ডেমরা সার্কেলের আওতাধীন নাসিকের তিন নম্বর ওয়ার্ডের অন্তত শতাধিক বিক্ষুব্দ গ্রাহক রাজধানী ডেমরা থানার সারুলিয়া এলাকাস্থ বিদ্যুৎ অফিসে উপস্থিত হয়ে গণস্বাক্ষর সম্বলিত একটি আবেদন পত্র নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলামকে দেওয়ার সময় তারা তাকে এ আল্টিমেটাম দেয়। এসময় গ্রাহকরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রি-পেইড মিটারগুলো অপসারণ করে পূর্বের ন্যায় পোষ্ট পেইড মিটার স্থাপন করতে ডিপিডিসি নির্বাহী প্রকৌশলীকে আল্টিমেটাম দেয়। এক সপ্তাহের মধ্যে এ দাবী বাস্তবায়ন না করা হলে এলাকাবাসীকে নিয়ে সকল মিটার ভেঙ্গে ফেলার ঘোষণা দেয় তারা।
সকালে নাসিকের সিদ্ধিরগঞ্জের তিন নম্বর ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর পক্ষে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বাকী ও কাজী জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ডিপিডিসি ডেমরা সার্কেলের অফিসের সামনে শতাধিক গ্রাহক জড়ো হয়ে হয়রানীর প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ করে। পরে বিক্ষুব্দ গ্রাহকরা নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলামের সাথে সাক্ষাত করে তাদের সমস্যা গুলো অবহিত করেন। এসব সমস্যাগুলো সমাধানের লক্ষ্যে এসময় এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষর সম্বলিত একট আবেদনপত্র নির্বাহী প্রকৌশলীকে দেয় তারা। সমস্যার কথা বলতে গিয়ে উত্তেজিত গ্রাহকরা জানান, আমরা এই স্বৈরাচারী মিটার মানি না, মানবো না। আমরা এই অসঙ্গতিপূর্ণ বিদুৎ বিল, মিটার চার্জ ও অতিরিক্ত চার্জ থেকে অব্যাহতি চাই। এসময় ভুক্তভোগী গ্রাহকদের হট্টগোলে নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরে নির্বাহী প্রকৌশলী তাদেরকে বুঝিয়ে সমস্যা সমাধের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ সময় ডিপিডিসি ডেমরা সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম গ্রাহকদের সমস্যাগুলো সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বলেন, আপনাদের বিষয়গুলো আজকের মধ্যেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অবহিত করা হবে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে দ্রুতই সমস্যা সমাধান করা হবে।