dainik rswadesh
- ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ / ১৪০ বার পঠিত

আবু কাওছার
রূপগঞ্জে ছাত্রদল নেতা দোলনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা তুলে নিতে বাদীকে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে চরম নিরাপত্তাহীনতার ভুগছে বাদীসহ তার পরিবার। হুমকির ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে সামাদ ভুইয়া রূপগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন।
মামলার বাদী আব্দুস সামাদ ভুইয়া জানান, গত ৪ সেপ্টেম্বর হাটাবো বেলতলা এলাকায় কাওছার ও আওলাদ এবং তাদের ৪০/৪৫ জনের একদল বাহিনী সামাদ ভুইয়ার ফসলি জমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক ড্রেজারের বালুর পাইপ বসায়। আব্দুস সামাদ ভুইয়া ও তার ভাতিজা দোলন ভুইয়া তাদেরকে বাঁধা দেয়। এ সময় তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে কাওছার ও আওলাদসহ তাদের অস্ত্রধারী ইসরাফিল, সেলিম মোল্লা, শুভ, ফেরদৌস, রাব্বি, কাওছার, টিপু, সোহেল, আলী,জাহাঙ্গীর, পারভেজসহ ২৫/৩০ জন লোক দোলনকে রাম দা দিয়ে এলোপাতারীভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। দোলনকে বাাঁচাতে তার চাচা আব্দুস সামাদ এগিয়ে আসলে তাকেও পিটিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় গত ৬ সেপ্টেম্বর আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসামীরা জামিনে বেরিয়ে এসে মামলা তুলে নিতে বাদীকে অব্যাহত হুমকি দিয়ে আসছে। মামলা তুলে না নিলে তার ছেলে আশিক ভুইয়াকে জবাই করে বস্তাবন্ধি করে শীতলক্ষ্যায় ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয়। এতে চরম নিরাপত্তাহীনতার ভুগছে বাদীসহ পরিবারের সদস্যরা।
আহত দোলন ভুইয়ার চাচা জাকির হোসেন বলেন, কাওছার ও তার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না,
বাজারে যেতে পারছি না, আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় কোন কাজ করেতে পারছিনা।
পুলিশের কোন প্রকার সহযোগীতাও আমরা পাইনা। আমরা একপ্রকার ঘরবন্ধি অবস্থায় আছি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যাকান্ডের ঘটনায় কাউছার সরাসরি জড়িত থাকায় গত ১ সেপ্টেম্বর হাসিবুল হাসান লাভলু বাদী হয়ে কাওছারসহ ১১৫ জনকে আসামী করে বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, হুমকির বিষয়টি আমি জেনেছি। মামলার বাদীকে হুমকি ধামকী দিলে তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।