শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২৯ অপরাহ্ন
‘বাঙ্গালি জাতিকে মেধাশূণ্য করতেই স্বাধীনতার উষালগ্নে দেশের শ্রেষ্ঠসন্তান শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ হাজারো বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করেছে পরাজিত অপশক্তি ও সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী অপশক্তি। ঠিক তেমনইভাবে বাংলাদেশের রাজনীতিকে মেধাশূণ্য করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সাহসী সেনানী, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার লক্ষেই গুলি করা হয়েছে। এটি শুধুমাত্র একটি দুঘর্টনা নয়, এর পেছনের প্রকৃত রহস্য অত্যান্ত গভীর। যা সরকারকে খুজে বের করতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ’র শীর্ষ নেতৃদ্বয়।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ‘১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তারা বলেন, ‘দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন উৎসর্গকারীদের অবদান কোনো দিন ¤øান হবে না। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আকাঙ্খিত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মানে আমাদের জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি করা সময়ের দাবী।’
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর এই সশস্ত্র হামলা জুলাই অভুত্থান, গণতন্ত্র, আইনশৃঙ্খলা ও নাগরিকদের নিরাপত্তার ওপর সরাসরি আঘাত। দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য দাড়িয়েছিল বলেই জুলাই অভ্যুত্থানের সাহসী সেনাদেরকে ১৪ ডিসেম্বরের মত দেশকে ব্যর্থ করার সুদূরপ্রসারী অশুভ পরিকল্পনার অংশ বলেই প্রতিয়মান হচ্ছে। এই আক্রমণ নিঃসন্দেহে নির্বাচনি পরিবেশ বানচাল করে গণতন্ত্রকেই অকার্যকর করার নীলনকশা।’
তারা বলেন, ‘১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ১৪ই ডিসেম্বর এক কালোঅধ্যায়। রক্ত দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ গণতন্ত্রের প্রশ্নে কোনো আপস চলবে না। বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্যেই স্বাধীনতার সংগ্রাম আর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ। সুতরাং স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জুলাই চেতনার ভিত্তিতেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আকাঙ্খিত জনগণের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামের কোন বিকল্প নাই।’
নেতৃদ্বয় হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলেন, ‘কেউ যদি দেশে আবার নতুন করে ফ্যাসিজম বা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়, তাহলে খুব দেরি হবে না, জনগণ তাদের প্রত্যাখান করবে এবং রুখে দাড়াবে। জুলাইয়ে আমাদের সন্তানরা আত্মত্যাগ করেছে ক্ষমতা কিংবা পদ-পদবির জন্য নয়। দেশকে সংস্কার, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেয়া ও ফ্রাসীবাদের চির অবসানের লক্ষে। তারা গুলির মুখে বুক পেতে দিয়েছিল ও ফ্যাসিবাদকে চ্যালেঞ্জ করেছিল এবং বিশ্বাস করেছিল বাংলাদেশ ভিন্ন হতে পারে। এই লড়াই আমাদের চালিয়ে যেতে হবে দেশকে সঠিক পথের সন্ধ্যান দেয়ার জন্য।’