মঙ্গলবার, ২২ Jul ২০২৫, ০১:৫২ পূর্বাহ্ন
তরিকুল ইসলাম:
কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদল মেঘনা উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি মোঃ জালাল আহমেদ (জামান) কে মেঘনা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পেতে চায় নেতাকর্মীরা।
১৯৯১ সালে এম. কে আনোয়ার এর হাত ধরে রাজনীতিতে আগমন জালাল আহমেদ জামান এর। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে জননিরাপত্তা আইনসহ মোট ২২টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় তিনি একাধিক বার জেল খেটেছেন।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে আদর্শিত হয়ে এবং দলের সকল আদর্শকে বুকের ভিতর লালন করে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে, তৎকালীন জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এম কে আনোয়ার এর বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, অঙ্গ সংগঠনের মেঘনা উপজেলায় যে কোনো ধরনের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিকে বাস্তবায়ন করার লক্ষে সব বয়সের সাধারণ জনগনসহ যুবকদের একসাথে করে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার জনপ্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
মেঘনা উপজেলার অন্তর্গত যেকোনো ইউনিয়নে যেকোনো অনুষ্ঠান সফলভাবে বাস্তবায়ন করার করার জন্য হাজারো নেতাকর্মীকে নিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সফলভাবে বাস্তবায়ন করার কারণে তৎকালীন মন্ত্রী এম কে আনোয়ার এর আস্থাভাজন হিসেবে এবং বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে জায়গা করে নিয়েছিলেন।
কর্মীবান্ধব এই যুবনেতার উত্থান এবং রাজনৈতিক মাঠে সুনাম অর্জন করার কারণে অনেক নেতা তাকে আর সহ্য করতে পারলেন না।
বহু ধরনের ষড়যন্ত্র, পদে পদে তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা রটানোর আভাস পেয়ে তরুণ এই যুবনেতা এক সময়ে আমেরিকাতে পাড়ি জমাতে মন স্থির করলেন।
সেখানে গিয়েও সব সময় মেঘনা উপজেলার বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে সব সময় যোগাযোগ রেখে চলেছেন এবং তৃণমূল নেতাকর্মীদের মনের ভাব চাঙ্গা রাখার উদ্দেশ্যে সব সময় সাহস যোগানোর কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বিদেশে থাকাকালীন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের স্বেচ্ছাসেবকদলের অসংখ্য নেতাকর্মীদের আর্থিক সহযোগিতা করেছেন।
২০২৩ সালে আবারও তিনি বাংলাদেশে এসে আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
তিনি অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়াকে সঙ্গে নিয়ে একটি বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেন, যেই সমাবেশটি তারেক রহমানের দৃষ্টিতে আসে।
দলের এই সময়ে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতাকর্মীরা জালাল আহমেদের মত একজন সাহসী নেতাকে মেঘনা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পেলে মেঘনা উপজেলা বিএনপি আরও শক্তিশালী হবে বলে তৃলমূল নেতা কর্মীরা জানান।