মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ফ্যাসীবাদী শক্তির ষড়যন্ত্রের সূচনা হিসাবে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ শীর্ষ নেতৃদ্বয় বলেছেন, ‘২৮ অক্টোবরের লগি বৈঠার নৃশংস হত্যাকান্ডের মাধ্য দিয়েই দেশবিরোধী-গণতন্ত্র বিরোধী অপশক্তি দেশবাসীর কাঁধে চেপে বসেছে। সেই হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে সংগঠিত ১/১১ ছিল সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী ষড়যন্ত্রের চূড়ান্ত খেলা। গত ১৭ বছরের সরকার ছিল সেই ষড়যন্ত্রেরই ফসল।’
সোমবার (২৭ অক্টোবর) ‘২৮ অক্টোবর স্মরণে’ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, ‘বাংলাদেশকে রাজনীতিশূন্য করতে এবং দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করতেই ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বর্বরোচিত হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছিল। ইতিহাসের এই কালো অধ্যায়ের কারণে বিশ্ব সভ্যতায় আমাদের অবস্থান নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। ৫ আগষ্টের গণঅভ্যুত্থানের পর ২৮ অক্টোবরের হত্যাকান্ডের বিচার না হয়, তাহলে হলে মানবতা-মানবাধিকার প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকবে।’
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ‘২৮ অক্টোবর বর্বরোচিত হত্যাকান্ড ঘটিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতাকে গলাটিপে যারা হত্যা করেছিল ইতিহাস তাদের ক্ষমা করে নাই, ভবিষ্যতেও করবে না। ২৮ অক্টোবরের প্রেক্ষাপটে ১/১১ সূত্রধরে ২০০৮-এর ২৯ ডিসেম্বরের ডিজিটাল কারচুপির মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের কাঁধে এক অশুভ শক্তি ভর করেছিল তাকে উৎখাত করতে জাতিকে দীর্ঘ আন্দোলন ও ত্যাগ শিকার করতে হয়েছে। এই দিনটি ইতিহাসের জঘন্যতম অধ্যায় রচিত হয়েছিল। সেদিন যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছিল তারা মানবতার শত্রু, সভ্যতার দুশমন।’
তারা বলেন, ‘২৮ অক্টোবর এই বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথ থেকে চিরতরে বিচ্যূত করে ফ্যাসিবাদের পথ উন্মুক্ত করা হয়েছিল। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। ফ্যাসিবাদের জায়গা এই দেশের মাটিতে আর হবে না। ৫ আগস্টের চেতনাকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।’