মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে সিদ্ধিরগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল বিএনপিতে ভূমি দস্যুদের জায়গা হবে না : অধ্যাপক মামুন মাহমুদ রূপগঞ্জে ছাত্র বলাৎকারে অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ এত অগ্নিকান্ড, দুঘর্টনা নাকি পরিকল্পিত অরাজকতা  :  ন্যাপ স্বৈরাচারের আমলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া আপোষ করেনি : অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বিএনপি মাটি ও মানুষের থেকে উঠে আসা নেতাকে মনোনয়ন দিবে : মামুন মাহমুদ রূপগঞ্জে মা ও ছেলেকে মারধরের অভিযোগ সাহেব আলীর সহযোগী নুরনবী অস্ত্রসহ গ্রেফতার সিদ্ধিরগঞ্জে একাধিক মামলার আসামি ডাকাত সাহেব আলী গ্রেফতার নারায়ণগঞ্জ আদালতে ই-বেল বন্ডের কার্যক্রম শুরু

সিদ্ধিরগঞ্জে একাধিক মামলার আসামি ডাকাত সাহেব আলী গ্রেফতার

র‍্যাবের ওপর হামলা করে পলাতক থাকা নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাহেব আলীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। র‍্যাব-১১ ও র‍্যাব-৯ এর যৌথ অভিযানে বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ থানার মান্নানঘাট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) র‍্যাব-১১’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি সাংবাদিকদের অবহিত করেন।

র‍্যাব-এর সিইও জানান, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের বউবাজার এলাকায় সাহেব আলীকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালায় র‍্যাব-১১’র একটি দল। অভিযানের সময় সাহেব আলীর নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী বাহিনী র‍্যাব সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে র‍্যাবের চার সদস্য আহত হন। হামলার সুযোগে সাহেব আলী পালিয়ে যান এবং তখন থেকেই সে পলাতক ছিলেন।

র‍্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারি কাজে বাধা ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এবং ওই ঘটনায় মোট পাঁচটি মামলা দায়ের রয়েছে সাহেব আলীর নামে।

এদিকে র‍্যাবের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাহেব আলী সিদ্ধিরগঞ্জের আটি ওয়াপদা কলোনী এলাকার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি, অস্ত্রবাজি, নারী নির্যাতন, মাদক ব্যবসা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে আধিপত্য বিস্তার করছিলেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাহেব আলী নিজের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় শোডাউন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতেন। কেউ প্রতিবাদ করলে তার বাহিনী দিয়ে মারধর, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হতো।

এর আগে ৬ অক্টোবর গাজীপুরের গাছা থানার চান্দুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে র‍্যাব-১১ সাহেব আলীর স্ত্রী, ছেলে ও চার সহযোগীকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে খেলনা পিস্তল, শাবল, জাতীয় পরিচয়পত্র ও একাধিক মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাবের তথ্য অনুযায়ী, সাহেব আলীর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ২০টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ডাকাতি ও ছিনতাই ৭টি, মাদক মামলা ২টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ১টি, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও নাশকতা ৩টি, সরকারি কাজে বাধা ৫টি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছদ্মবেশে ডাকাতি ২টি। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব সিইও।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত