dainik rswadesh
- ৪ মে, ২০২৫ / ২ বার পঠিত

সম্রাট আকবরঃ
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেছেন, পাসপোর্ট হচ্ছে একজন নাগরিকের জাতীয়তা ও নাগরিকত্ব পরিচয়ের অন্যতম ডকুমেণ্ট। রোহিঙ্গা কিংবা নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা নয় এমন কোন লোক এ অফিস থেকে পাসপোর্ট করলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা চাই এ পাসপোর্ট অফিসটি হবে পুরোপুরি দালালমুক্ত। যদি দালালদের আনাগুনা পরিলক্ষিত হয় তাহলে তাৎক্ষনিক মোবাইল টিম পাঠিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। দীর্ঘ ৯ মাস পর রবিবার(৪ মে) বেলা ১১ টায় পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম পরিদর্শন করতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
কোন সেবা গ্রহিতা যেন প্রতিবন্ধকতার শিকার না হয় সেদিকটি বিবেচনায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের সজাগ দৃষ্টি রাখার আহব্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ একটি শিল্পঘন এলাকা। এ জেলার যারা শিল্পের সঙ্গে জড়িত আছে প্রতিনিয়তই তাদের দেশের বাইরে ভ্রমণ করতে হয়। পাসপোর্ট তাদের জন্য খুবই প্রয়োজন। দীর্ঘ ৯ মাস এ অফিসের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। সে লক্ষ্যে অফিসের কার্যক্রম নতুনভাবে চালু হয়েছে। আমি আশা করি এখণ জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাগব হবে।
নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের উপ পরিচালক মো. জামাল হোসেন বলেন, আজ থেকে পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু করা হয়েছে। এখন থেকে পাসপোর্টের সকল কার্যক্রম ও সরবরাহ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তার আগে গত বুধবার দিবাগত রাত ১২ টার পর থেকে অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন কার্যক্রম চালু করা হয়। যদি কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারি অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৮ জুলাই রাতে পাসপোর্ট অফিসটি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন বিতরণের অপেক্ষায় থাকা অন্তত ৮ হাজার পাসপোর্ট আগুনে পুড়ে যায়। আগুনে অফিস ভবনটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। বন্ধ হয়ে যায় সকল কার্যক্রম। এতে জেলার সাতটি থানার লোকজন পাসপোর্ট করতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন। পাসপোর্ট করতে ছুটে যেতে হতো পাশের জেলা মুন্সিগঞ্জ ও নরসিংদীতে। ঘটনার ৬ মাস পর গণপূর্ত বিভাগ অফিসটির সংস্কার কাজ শুরু করেন।