সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ০৭:১৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
রূপগঞ্জে সড়কে আন্ডারপাস নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস হবে পুরোপুরি দালাল মুক্ত : নারায়ণগঞ্জ ডিসি সিদ্ধিরগঞ্জ পুলে যানজট নিরসনে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন যুবদল নেতা সোহাগ মিয়া প্রান্তিক কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছেন রূপগঞ্জ উপজেলা যুবদল আরাকানকে ‘মানবিক করিডোর’ দেওয়া চরম ঝুঁকিপূর্ণ : ন্যাপ বিএনপি নেতা রুবেল মাতবরের মা এবং যুবদল নেতা নূরে আলম প্রধানের পিতার মৃত্যুতে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এর শোকবার্তা সোমবার ৫মে দেশে ফিরছেন বেগম খালেদা জিয়া তিন দফা দাবিতে ভোলাবাসীর মানববন্ধন ও সমাবেশ আওয়ামীলীগ নেতা আতাহার আলীর নাতি সাগরের বিরুদ্ধে  হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ  সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতা হারুনের মেয়ের মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরাল

গিয়াস উদ্দিনের বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন মামুন মাহমুদ

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক  অধ্যাপক মামুন মাহমুদ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিনের বক্তব্যের চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন উনার কাছে প্রমাণ থাকলে সেই প্রমাণ দিক। মুখে বলার তো প্রয়োজন পড়ে না।
রবিবার (১লা ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সাথে একান্ত আলাপ কালে এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, উনি (মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন) আওয়ামী লীগের সাথে ছিলো, আবার এরশাদের সাথে ছিলো সেই ছবি তো আমরা প্রকাশ করি নাই। ২০১৩ সালে নুরুদ্দিন বিএনপি করতো শাহ আলম সাহেব ও বিএনপি করতো। এটা যুবদলের ব্যানারের ছবি। সে সময় অনেকেই বিএনপি করতো কিন্তু উনারা তখন বিএনপি না করে  পালিয়ে ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জে সাত খুন নিয়ে সবচেয়ে বেশি কথা আমিই বলি।  এই হত্যার কারণে  নারায়ণগঞ্জের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। যারা আইভীর সাথে মিটিং করে এমনকি  পিতা পুত্র  শামীম ওসমানের ভোট চায় তারা আবার আমার সখ্যতার কথা বলে। সখ্যতার একটা ছবি ওনার নিকট থাকলে  তার প্রমাণ দিক। তিনি না বলেছেন আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ আছে। প্রমাণ দিলেই তো হয়ে যায়।
মামুন মাহমদু বলেন, আমি জেলখানায় গিয়েছি এমন কোনো ছবি থাকলে তিনি সেটা দেখিয়ে দিলেই তো হয়ে যায়। আমার রাজনীতি এক প্রমাণের ভিত্তিতে শেষ দিতে পারতো। এত ভালো প্রমাণ থাকার পরেও ২০১৩ সালের ছবি দেয়ার প্রয়োজন হলো কেন  ওনি রানিং ছবি দেখাক। এটা দিলেই তো আমার রাজনীতি ধ্বংস হয়ে যায়।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর একটি সমাবেশে গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমাদের নারায়ণগঞ্জে স্বৈরাচার সরকারের এক গডফাদার ছিল শামীম ওসমান। সে কি পরিমাণ অর্থ সম্পদ লুন্ঠন করেছেন তা সবারই জানা। এই গডফাদারের এক সন্ত্রাসী বাহিনী ছিল সিদ্ধিরগঞ্জে। সাত খুন মামলার ফাঁসির আসামি নূর হোসেন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তিনি জেলে বসে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। জেলে বসে তিনি টেলিফোনে বারবার যোগাযোগ করছে কি করে সিদ্ধিরগঞ্জে প্রভাব বিস্তার করা যায়। কিভাবে দাঙ্গা হাঙ্গামা করা যায়। আমাদের দলের জনৈক এক নেতা যখন নূর হোসেন বাহিরে ছিলো তখন তার অর্থ দিয়ে তিনি রাজনীতি করতেন। তিনি এখন জেলের মধ্যে থেকেও তাকে অর্থ দিচ্ছেন। ঐ ব্যক্তিটি কিছুদিন আগে জেলখানায় গিয়ে নূর হোসেনের সঙ্গে আলোচনা করে এসেছেন। এসব তথ্য প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। নূর হোসেন টাকার সাপ্লাই দিচ্ছে আর শেখ হাসিনার গডফাদার শামীম ওসমান তা পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। আজও ওই ব্যক্তিকে দিয়ে আমাদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তার এই বক্তব্যের পর নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে নানা আলাপ আলোচনা চলমান রয়েছে। সেসাথে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক  অধ্যাপক মামুন মাহমুদের সাথে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের বিরোধীতা আরও বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত