প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫, ৯:৪৩ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫, ১০:৩৩ পি.এম
সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসি উপ সহকারী প্রকৌশলী সোহাগের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য ও হয়রানির অভিযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ডিপিডিসির উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান সোহাগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গ্যারেজ ও বাসা বাড়ী থেকে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দাবিকৃত ঘুষ না দিলে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের ভয় দেখান বলে জানা যায়। বাণিজ্যিক লাইনকে আবাসিক করিয়ে কদমতলী এলাকার বাসিন্দা চিহ্নিত বিদ্যুতের দালাল আক্তারের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা অনৈতিকভাবে আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, পাগলা বাড়ি, কদমতলী ও চৌধুরী বাড়ির দায়িত্বে রয়েছেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান সোহাগ। এসব এলাকাতে নতুন সংযোগ পাস করাতে হলে সোহাগ কে ফাইল প্রতি ৩০০০ টাকা ঘুষ প্রদান করতে হয়। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ টি ফাইল সোহাগ টাকার বিনিময় পাস করান। টাকা না দিলে বিভিন্ন অজুহাতে গ্রাহকদের হয়রানি করারও অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয় বাসা বাড়ি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে আক্তার নামে চিহ্নিত বিদ্যুতের দালাল কে দিয়ে সোহাগ মিটারের রিডিং সংগ্রহ করেন এবং বিল দেয়ার কাজও করায় বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপরোক্ত এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা এসব অভিযোগ করেন। নাসিক ১ নং ওয়ার্ড পাগলাবাড়ী, কদমতলী ও চৌধুরীবাড়ী সহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় কদমতলীর আক্তারকে নিয়ে একটি বিদ্যুতের দালাল সিন্ডিকেট তৈরি করেছে ডিপিডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান সোহাগ। এই আক্তার বিদ্যুতের চিহ্নিত দালাল হিসেবে প্রমাণিত হওয়ায় সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষ দালালদের সাইনবোর্ডে তার একটি ছবি প্রদর্শন করে রেখেছেন। অথচ সে দালাল আক্তারকে দিয়েই অনৈতিকভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার সুবিধা নিচ্ছে সোহাগ। যা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে।
সোহাগের এমন ঘুষ কর্মকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসী বলেন, আব্দুর রহমান সোহাগকে ঘুষ না দিলে বিভিন্ন অজুহাতে হয়রানি করে। তাই বাধ্য হয়ে তাকে ঘুষ দিতে হয়। আব্দুর রহমান সোহাগ যোগদান করার পর থেকেই অবৈধভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার ঘুষ বাণিজ্য ও সাধারণ গ্রাহকদের হয়রানি করছে। আমরা এই দুর্নীতিবাজ ডিপিডিসির কর্মকর্তা সোহাগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
উপরোক্ত অভিযোগ সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির এসি শের আলীর মুঠোফোনে জানাতে চাইলে তিনি গণমাধ্যম কর্মীকে অফিসে আসতে বলেন। অভিযোগের বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করবেন না বলে জানান।
উক্ত বিষয় জানতে সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান সোহাগের মুঠোফোন কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত