সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে অবৈধ ভাবে ফোর্স ও বাংলার কিং নামক মশার কয়েল কারখানা গড়ে উঠেছে। সেই সাথে সিদ্ধিরগঞ্জ কাস্টমসকে ম্যানেজ করে লক্ষ লক্ষ টাকার ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ মাদানী নগর মাদ্রাসার পাশে অরুনের মালিকানাধীন ফোর্স ও বাংলার কিং নামক মশার কয়েল কারখানা পরিবেশ ও ট্রেড লাইসেন্স বিহীন ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। নিয়ম-নীতির কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে অবৈধ ভাবে চলছে মশার কয়েল কারখানা। শুধু তাই নয় অবৈধ ভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকার সরকারের গ্যাস ব্যবহার করছে অরুন। ব্যবসার শুরু থেকে কাস্টমসকে ম্যানেজ করে সরকারের কোটি কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ অরুন। নামে বেনামে করেছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদ। নাসিক ৩ নং ওয়ার্ডে করেছেন আলিশান ভবন।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এলাকাবাসী জানায়, অবৈধভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ অরুনের মশার কয়েল কারখানাটি চালিয়ে যাচ্ছে । প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পরিবেশ ও ট্রেড লাইসেন্সবিহীন মশার কয়েল কারখানা চালিয়ে অরুণ কোটি টাকার মশার কয়েল উৎপাদন করে সারাদেশে বিক্রি করে যাচ্ছে। সিদ্ধিরগঞ্জ কাস্টমসকে মাসিক মাসোহারার মাধ্যমে ম্যানেজ করে নামমাত্র ভ্যাট প্রদান করে সরকারের প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছে বলে জানায় সূত্রটি। মশার কয়েল কারখানাটির পরিবেশ ছাড়পত্র ও ট্রেড লাইসেন্স নেই। তাই প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি অরুণের মশার কয়েল কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
আরও জানা যায়, অরুনের কয়েল কারখানায় অবৈধ ভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে প্রতিমাসে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার গ্যাস চুরি করছে। কারখানাটি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাবালক শিশুরা কয়েল তৈরীর বিষাক্ত মেডিসিন দিয়ে কাজ করছে। মশার কয়েল কারখানার দুর্গন্ধে আশেপাশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। মশার কয়েল কারখানাটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান এলাকাবাসী।
উক্ত বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তর ও সিটি কর্পোরেশন অফিসের কর্মকর্তারা জানান, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যদি কোন প্রতিষ্ঠান চলে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিদ্ধিরগঞ্জ কাস্টমসের এক কর্মকর্তা জানান, কাস্টমসের সাথে কোন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজের সুযোগ নেই। কোন প্রতিষ্ঠান যদি ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে মালামাল বিক্রি করে তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানের নামে ভ্যাট ফাঁকির মামলা দায়ের করা হবে। অরুণ এর মশার কয়েল কারখানাটি আমরা নজরদারিতে রাখবো।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে কারখানার মালিক অরুনের মুঠোফোন কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।