‘আমরা জুলাই শহীদদের স্মরণ করতে চাই আগামী দিনের দুর্নীতি-দুঃশাসনমুক্ত একটি বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে। বাংলাদেশ জালিমের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদ পলালেও ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার অবসান হয় নাই। এখনো চাঁদাবাজির কবল থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হয় নাই, লুণ্ঠনের কবল থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হয় নাই’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র সংষ্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে। ২০২৪ সালের আমি আর ডামি নির্বাচনে অংশগ্র না করেও অনেক রাজনৈতিক দলকে রাষ্ট্রসংস্কারের আলোচনার বাইরে রাখা হয়েছে অজ্ঞাত কারণে। যে বৈষম্যের বিরুদ্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থান রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষে চলমান কার্যকলাপে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। তবুও আমরা চাই রাষ্ট্র সংস্কার হোক এবং সঠিক রাস্তায় পরিচালিত হোক রাষ্ট্র। এই রাষ্ট্রে যাতে আর কোন ফ্যাসিবাদী শাসকের জন্ম হতে না পারে।’
বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) বিকালে রংপুরের ধাপে দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ রংপুর মহানগর আয়োজিত মতবিনিময় সভায় ঢাকা থেকে অনলাইনে সংযোগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। সেই মাফিয়াতন্ত্র, সেই সন্ত্রাস, সেই দখলদারিত্ব কিন্তু রয়েই গেছে। ফলে সকলকে মনে রাখতে হবে জুলাই বিপ্লবের লড়াই এখনো শেষ হয় নাই। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৫৩ বছর পরও আমরা সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেখা যায় নাই। যার ফলে যখন যে দল ক্ষমতায় গিয়েছে, নিজেদের মতো করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করেছে। এবার একটা সুযোগ এসেছে এই ফ্যাসিবাদী কাঠামো ভাঙার।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিবর্তন করতে হলে তরুণদের প্রাধান্য দিতে হবে। সেই সাথে শিক্ষা ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষসাধন করতে হবে। একদিন তরুণেরাই আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে, ঠিক যেমনটা করে দেখিয়েছেন স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে।'
বাংলাদেশ ন্যাপ রংপুর মহানগরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সাবেক কাউন্সিলর আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দলেরন রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রেজাউল করিম রীবন, মহানগর নেতা আবু তালেব, একরামুল হক, খোরশেদ আলম, ওমর ফারুক, হায়দার চৌধুরী, শেখ ইমতিয়াজ সিদ্দিকী, মোঃ হাবিব, মোঃ নুর আলম, মোঃ গোলাম মোস্তফা, মোঃ আব্দুর রউফ, মোঃ ময়নাল হোসেন, মোঃ এনামুল হক, মোঃ আসলাম হোসেন প্রমুখ।