গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নবগঠিত জেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য হিসেবে বিনা অনুমতিতে এক ব্যবসায়ীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ছাদিম কাজী নামের ওই ব্যবসায়ী।
ছাদিম কাজী গোপালগঞ্জ সদরের ফকিরকান্দি এলাকার বাসিন্দা।
তিনি দাবি করেন, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত নই। তারপরও এনসিপি জেলা সমন্বয় কমিটিতে কিভাবে আমার নাম গেল?
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আমার অনুমতি ব্যতীত আমাকে একটি দলের কমিটির সদস্য মনোনীত করা হয়েছে। সেটা আমি এবং আমার পরিবারের জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। এটা আমার বিরুদ্ধে কেউ ষড়যন্ত্র করেছে। আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য না এবং এনসিপি দলেরও না। তাই আমার নাম এনসিপি দলের কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার অনুরোধ রইলো।
এর আগে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণ অঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্য সচিব আকতার হোসেন স্বাক্ষরিত সংগঠনের প্যাডে গোপালগঞ্জ জেলা সমন্বয় কমিটির অনুমোদন দেয়। ছাদিম কাজী ওই কমিটির এক নাম্বার সদস্য।
এ বিষয়ে ছাদিম কাজী বলেন, আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। আমি একজন ব্যবসায়ী। এনসিপির কমিটি কখন কিভাবে গঠন করা হলো, আমি জানি না। ৩ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেখতে পাই কমিটির কাগজ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। আমার কথা হলো, আমি কখনো তাদের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করিনি, কাউকে সেভাবে চিনি না। তাহলে কেন আমার নাম কমিটিতে রাখা হলো। আমি ওই কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মো. আরিফুল দাড়িঁয়ার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বললেন, ‘আমাকে পদত্যাগ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে’। আমি তাই করেছি।
এনসিপি গোপালগঞ্জের জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ও কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য মো. আরিফুল দাড়িঁয়া বলেন, ছাদিম কাজীর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। তিনি আমাদের যুব কমিটিতে থাকতে চেয়েছিলেন। তবে যুব কমিটি না থাকায়, তাকে এই কমিটির (জেলা সমন্বয় কমিটির) সদস্য রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, তিনি হয়তো পারিবারিক বা ব্যবসায়িক চাপে এ ধরনের কথা বলছেন। তিনি থাকতে না চাইলে পদত্যাগ করুক।